দাম্পত‍্য জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে ফের সাত পাক ঘুরে পাত্র সিঁদুর দান করলেন পাত্রীকে

17th February 2020 বাঁকুড়া
দাম্পত‍্য জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে ফের সাত পাক ঘুরে পাত্র সিঁদুর দান করলেন পাত্রীকে


দাম্পত্য জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে নতুন করে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আশির দোর গোড়ায় পৌঁছে যাওয়া যুবক প্রভাস চন্দ্র দত্ত ও সত্তরোর্ধা যুবতী অনিমা দত্ত। বাঁকুড়ার ইন্দাসের ডিভিসি অফিস পাড়ায় এই বিবাহ উপলক্ষ্যে আনন্দ উৎসবে মাতলেন এলাকাবাসী।

প্রভাস চন্দ্র দত্ত ও অনিমা দত্তের ৫০ তম বিবাহ বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি করলেন না তিন ছেলে মেয়ে ও চার নাতী নাতনি।বিয়ের সমস্ত আচার অনুষ্ঠান মেনে প্রভাস বাবু ও অনিমা দেবীকে বর ও কনের সাজিয়ে নতুন করে বিয়ের অনুষ্ঠান হলো। যেখানে মালা বদল থেকে সিঁদুর দান বাদ গেলোনা কিছুই। সঙ্গে ছিল আত্মীয় স্বজন থেকে পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে দেদার ভূরি ভোজের আয়োজন। আর দাদু-ঠাকুমার অভিনব এই বিয়ের অনুষ্ঠান মোবাইল বন্দী করে রাখতে নাতি নাতনিদের হুড়োহুড়ির ছবিও ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়।

কেন এমন অভিনব আয়োজন? এই প্রশ্নের উত্তরে ছেলে মানবাশিস দত্ত বলেন, একসাথে ৫০ বছর পার করাটা কম কথা নয়। আমরা এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। তাই এই ধরণের আয়োজন। বাবা, মা তাঁদের সব আত্মীয় স্বজন থেকে নাতি নাতনি সবার সাথে খুব আনন্দ করেছেন বলে তিনি জানান।

৫০ বছর পরে সহধর্মিণী অনিমা দেবীর সাথে ফের নতুন করে সাত পাকে বাঁধা পড়ার পর অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মী প্রভাস চন্দ্র দত্ত বলেন, সুখে দুঃখে এক সাথে থেকে ৫০ বছর পার করলাম। 

      ছবি - দেবব্রত মন্ডল 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।